হাতির সম্পর্কে মজাদার ও আশ্চর্যজনক ২৫টি তথ্য
হাতির সম্পর্কে মজাদার ও আশ্চর্যজনক ২৫টি তথ্য
ভূমিকা
একখানা লম্বা শুঁড়, ইয়া বড়ো চেহারা, কান দুলিয়ে দুলিয়ে ঘাস পাতা সহ একখানা আস্ত কলাগাছ খেয়ে নেওয়া আজকে আমরা ডাঙার বৃহত্তম প্রাণী হাতিদের বিষয়ে কতগুলি জানা অজানা এবং কিছু মজাদার ও আশ্চর্যজনক ঘটনা জানবো। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুনে নিইএই প্রাণীটির কিছু অদ্ভুত তথ্য।
![]() |
হাতির সম্পর্কে মজাদার ও আশ্চর্যজনক ২৫টি তথ্য
|
১) পৃথিবীতে হাতিদের দুইটি প্রজাতি
পৃথিবীতে হাতির দুইটি পৃথক প্রজাতি রয়েছে - আফ্রিকান সাভানাহ হাতি বা আফ্রিকান হাতি এবং এশিয়ান হাতি।২) দুই প্রজাতির হাতিদের উচ্চতা
হাতি হ'ল বিশ্বের বৃহত্তম ভূমি প্রাণী! পুরুষ আফ্রিকান হাতিগুলি ৩ মিটার লম্বা এবং ৪০০০ ৭৫০০ কেজি মধ্যে ওজনের হয় থাকে। এশিয়ান হাতিগুলি সামান্য ছোট, ৩০০০ – ৬০০০ কেজি।
আরও পড়ুন হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়
![]() |
হাতি সম্পর্কে অজানা তথ্য |
৩) দু রকম ভাইয়ের দু রকম কান
যেহেতু আফ্রিকান হাতিগুলো পৃথিবীর সবথেকে বড় হাতির প্রজাতির তাই তারা হলো বড়ো ভাই, আর এশিয়ান হাতিগুলো যেহেতু আফ্রিকান হাতির প্রজাতির থেকে একটু ছোট তাই এরা হলো ছোট ভাই। আফ্রিকান হাতিগুলো প্রজাতির কান বৃহৎ হয়, আর এশিয়ান হাতিগুলো কান বড়ো ভাইদের তুলনায় একটু ছোট হয়। তাহলে বলা যায় বড়ো ভাইয়ের বড় কান, আর ছোট ভাইয়ের ছোট কান।![]() |
হাতিরা তাদের পিঠে ধুলো ছিটিয়ে জীবাণু ও পরজীবী অপসারণ করে |
৪) খাবার পরিমান
এই চমত্কার স্তন্যপায়ী প্রাণীরা এক এক দিনে ঘাস, গাছপালা এবং ফলমূল খাওয়ার জন্য ১২ থেকে ১৮ঘন্টা সময় ব্যয় করে! তারা তাদের লম্বা শুঁড় খানি তাদের খাবারের গন্ধে ব্যবহার করে থাকে এবং শুঁড়ের সাহায্যে এরা খাবার খায়। হাতির সম্পর্কে মজাদার ও আশ্চর্যজনক ২৫টি তথ্য, হাতির গল্প, হাতির রচনা, হাতি সম্পর্কে অজানা তথ্য, হাতির খবর, হাতির দাঁত ছোট হচ্ছে, হাতির বৈশিষ্ট, এশিয়া হাতি, আফ্রিকান হাতিচলুন জেনে নিন আলুর খোসার উপকারিতা
৫) মলের পরিমান
স্বাভবিকভাবেই বেশি খাওয়া মানেই একটা জিনিস! বেশি পায়খানা। একটি হাতির প্রচুর পরিমাণে মল তৈরি হয়! প্রতিটি হাতি সপ্তাহে প্রায় এক টন মল তৈরি করে যা মাটি উর্বর রাখে এবং গাছের বীজ ছড়িয়ে দেয়। হাতিগুলি জলছবি খনন করে এবং ফুটপাথ তৈরি করে, আক্ষরিক অর্থে তাদের চারপাশের আড়াআড়ি পরিবর্তন করে!
৬) হাতিদের গরম থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন
আপনি কি গরমে সূর্যের আলো থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করেন? ব্যাবহার করতেই পারেন। তবে বন্ধু শুনে রাখুন হাতিও তাদের নিজস্ব সানস্ক্রিন তৈরি করেছে! কোনও নদী বা জলাভূমির স্নানের পরে তারা ত্বককে উত্তপ্ত ও জ্বলন্ত রোদের হাত থেকে রক্ষা করতে কাদা এবং বালু পিঠের ওপর দিয়ে ছড়িয়ে দেয়।
আসুন দেখে নিই ডিম কেনো গোল নয়
৭) হাতিদের ঘুম
যদিও মানুষের মোট কার্যকারিতার জন্য (গড়ে) আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন, হাতিগুলি আরও নমনীয়। তারা প্রতি রাতে কেবল চার ঘন্টা ঘুমায় এবং এমনকি ঘুমের অর্ধেক সময় তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায়। গভীর ঘুমের সময় তারা একপাশে ই শুয়ে থাকে এবং মজার কথা হল জোরে জোরে আবার নাকও ডাকে😂😍😘।
![]() |
এক কিশোরের সাথে একটি এশিয়ান হাতি |
৮) তারা সংবেদনশীল প্রাণী
হাতিরা খুব ইমোশনাল বা সংবেদনশীল হয়ে থাকে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, হাতির দলের কোনো সদস্য বা কোনো বন্ধু দুঃখ পেলে অন্য একটি সেই দুঃখিত হাতিটির কাছে যায়, এবং তাকে সান্তনা দেয়, এই পদ্ধতিতে তারা বেশিরভাগ সময়ই দুঃখিত হাতিটির মুখে নিজের শুঁড় খানি তুলে দেয়। হাতি অনেকসময় আহত হাতিদেরও সাহায্য করে থাকে।অন্য কোনো মারা গেলে তারা প্রচণ্ড পরিমাণে সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। তারা চুপচাপ হয়ে যায় এবং মৃত হাতির জন্য শোকপ্রকাশ করতে সময় নেয় এবং কখনও কখনও তারা মৃত হাতিটির দেহ ঘাস বা মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়। এটি এক অদ্ভুত জিনিস, যা প্রকাশ করে যে তাদের আকার বিশাল হওয়া সত্ত্বেও, তাদের হৃদয় কোমল।
৯) হাতিদের স্মৃতি চিত্তাকর্ষক
হাতিদের কেবল বিশাল দেহই থাকে না, তাদের বিশাল মস্তিষ্কও থাকে। হাতিদের মস্তিষ্কের ওজন পাঁচ কেজি। এবং তারা খুব বুদ্ধিমান প্রাণী কি অবাক হলেন এই তথ্যটি পড়ে? অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাদের বিশাল আকার এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতাবলে, তারা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখতে পারে। পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষার মূলক পদ্ধতিও হাতিদের মধ্যে রয়েছে। আপনার সাথে যদি কোন হাদিস হাতির পরিচয় হয় তবে সে আপনাকে মনে রাখতে পারে এমনকি কয়েক বছর পরেও যদি আপনার সঙ্গে তার দেখা হয় তাও সে আপনাকে চিনতে পারবে। তানজানিয়ায় তিনটি হাতির পাল নিয়ে অধ্যয়নরত বিজ্ঞানীরা দেখতে
পেয়েছেন যে, দীর্ঘ খরার সময়, বৃদ্ধ মাতৃসার নেতৃত্বে হাতির দুটি পালরা
জলের সন্ধানে খরাপ্রবন অঞ্চল ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং ফলস্বরূপ তাদের দলটির
আরও অনেকে বেঁচে ছিলেন। বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে এই প্রবীণ
মহিলা হাতিগুলো ৩০ বছরেরও বেশি সময় পূর্বে যে একটি খরা হয়েছিল তা মনে
রাখতে পেরেছিল এবং খরার সময়ে কী করতে হবে তা জানত। একজন মহিলা হাতিও
প্রাণিবিজ্ঞানী আইয়েন ডগলাস-হ্যামিল্টনকে চার বছর পরে চিনতে পেরেছিল।
![]() |
বাচ্চা হাতিটি খেলা করছে |
যা না জানলেই নয় মৌমাছির উপকারিতা, মৌমাছির অবদান
১০) হাতিরা ভাল ঝরনা পছন্দ করে
সূত্র: জেসিকা স্টার্ন, সীমান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা বাবুন অনাথ আশ্রম
একখানা শুঁড় হাতিদের একটি খুব দরকারী সরঞ্জাম। হাতিরা এগুলি তাদের দেহে জল স্প্রে করতে ব্যবহার করে এবং তারা তাদের শুঁড়ের সাহায্যে পরজীবীগুলি অপসারণ করতে এবং অন্যদের হাতিদের থেকেও দূরে রাখতে বাধা দেয় তাদের ত্বকে কাদা এবং ধূলিকণা ছড়ানোর মাধ্যমে।
১১) তারা সৃজনশীল যোগাযোগকারী
হাতির অন্যের সাথে যোগাযোগের নিজস্ব বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে যা তাদের সমস্ত ইন্দ্রিয়কে ব্যবহার করে। তারা একে অপরের সাথে তাদের দেহ ঘষে, হুমকি বা প্রতিরক্ষা বোঝাতে তাদের শুঁড় ব্যবহার করে এবং আনন্দ প্রকাশ করার জন্য তাদের কান নারায়।
আবার, হাতির এমন শব্দ করে যা আমাদের মনুষদের কাছে কম বলে মনে হয় অর্থাৎ আমরা মানুষরা ঠিক ঠাহর কর্ত্যে পারি না, তবে মাইল দূরে অন্য হাতিগুলি সেই আওয়াজ সনাক্ত করতে পারে। একটি অভিবাদনও সেই জায়গাতেই রয়েছে এবং আবার যখন তাদের একই পরিবারের কোনো সদস্য এর সাথে কোথাও দেখা হয় তখন তারা হালকা আওয়াজের মাধ্যমে একে অপরকে অভিবাদন জানায়।
আবার, হাতির এমন শব্দ করে যা আমাদের মনুষদের কাছে কম বলে মনে হয় অর্থাৎ আমরা মানুষরা ঠিক ঠাহর কর্ত্যে পারি না, তবে মাইল দূরে অন্য হাতিগুলি সেই আওয়াজ সনাক্ত করতে পারে। একটি অভিবাদনও সেই জায়গাতেই রয়েছে এবং আবার যখন তাদের একই পরিবারের কোনো সদস্য এর সাথে কোথাও দেখা হয় তখন তারা হালকা আওয়াজের মাধ্যমে একে অপরকে অভিবাদন জানায়।
![]() |
আফ্রিকান হাতিদের কান এশিয়ান হাতিদের তুলনায় কিছুটা বড়ো হয় |
১২) হাতিদের যৌনসঙ্গম
"মুসথ" নামে একটি সময়কালে পুরুষ হাতিদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায় এবং বিশেষত অন্যান্য ষাঁড়গুলির দিকে খুব আক্রমণাত্মক হয়। তারা তাদের চারপাশে আধিপত্য বিস্তার করে এবং মহিলা হাতিদের সঙ্গী করার চেষ্টা করবে, এই ধরনের সময়কাল, যা এক মাস বা তার বেশি সময় অবধি স্থায়ী হতে পারে। যদিও ম্যাসথ তীব্র যৌন ক্রিয়াকলাপের সাথে সম্পর্কিত, যদিও অ-মস্ত ষাঁড়গুলি সঙ্গম করে।
![]() |
মুসথ সময়কালে পুরুষ হাতিরা একে ওপরে সাথে লড়াই করে |
১৩) হাতির রেকর্ড দীর্ঘ গর্ভাবস্থা
মহিলা হাতিরা প্রায় দুই বছর গর্ভবতী থাকে। ভাবুন একবার দুই বছর গর্ভাবস্থা। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ের সেই দিনগুলিতে প্রচুর পুরুষ হাতি তাদের সাথে সঙ্গম করার চেষ্টা করবেন। তবে মহিলা হাতি যদি অনুমতি দেয় তবেই একটা পুরুষ হাতি সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারবে।
১৪) হাতি সাঁতার কাটতে পারে
সূত্র: সীমান্ত শ্রীলঙ্কা হাতির অভিজ্ঞতা
কথাটি শুনে আমাদের মনে হতে পারে হাতির আবার সাঁতার কাটার প্রয়োজন আছে নাকি এত বড় প্রাণী সে আবার নদীতে সাঁতার কাটব? তবে বাস্তবে হাতিরা ভাল সাঁতারু এবং তাদের শুঁড় জলের নীচে স্নোকারেলের মতো ব্যবহার করে।
১৫) হাতি ডান বা বাম- দন্তযুক্ত হতে পারে?
হ্যাঁ। মানুষ যেমন ডানহাতি বা বামহাতি হয়, তেমনি হাতিগুলিও দুটির মধ্যে একটি দাঁত বেশি ব্যবহার করে বলে প্রভাবশালী হয় বলে জানা যায়। এই পছন্দসই সংযোজনটিকে মাঝে মধ্যে ‘মাস্টার টাস্ক’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এবং প্রায়শই এটি আরও জীর্ণ হয়।
১৬) মহিলা হাতিদের কি দাঁত থাকে?
কেবল পুরুষ এশিয়ান হাতির দাঁত ই বড়ো হয়, মহিলা এশিয়ান হাতিদের দাঁত হয়না। পুরুষ এবং মহিলা আফ্রিকান হাতিদের স্বাভাবিকভাবেই দাঁত থাকে। তবে এর পরিবর্তন হচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যক আফ্রিকান হাতি দাঁত ছাড়াই জন্মগ্রহণ করছে। আর যারা এখনও দাঁত নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে, তাদের অতীতের তুলনায় অনেক ছোট দাঁত রয়েছে - সমীক্ষা অনুযায়ী আগের তুলনায় বর্তমান শতাব্দীতে দাঁতের গড় আকার অর্ধেক হয়ে গেছে।
১৭) হাতিদের দাঁত ছোট হচ্ছে
কেন হাতির কুণ্ডলী ছোট হচ্ছে? কারণ হাতির দাঁত শিকার করা হয় এবং শিকারিদের কাছে আলাদিনের চেরাগ। সবচেয়ে বড় দাঁতযুক্ত হাতিগুলির টার্গেট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, এবং চোরাকারবারিরা বড়ো দাঁত ওয়ালা হাতিদের মেরে ফেলে এবং এই কারণের জন্য জিনকে ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয় না।১৮) হাতিদের পাঁজরের হাড়
আমরা এশিয়ান হাতি এবং আফ্রিকান হাতিদের বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারছি। এখানে আরও একটি সুক্ষ পার্থক্য বিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। এশিয়ান হাতিদের বুকের পাঁজরের হাড় এক জোড়া কম। আফ্রিকান হাতিদের ২১ জোড়া করে পাঁজরে হাড় রয়েছে এবং এশিয়ান হাতিদের এক জোড়া কম অর্থাৎ ২০ জোড়া হার রয়েছে।
১৮) হাতির জীবনকাল
আফ্রিকান হাতি বন্য পরিবেশে জীবনে ৭০ বছর অবধি জীবন বেঁচে থাকতে পারে। তবে বন্দী অবস্থায় হাতি এত দিন বাঁচতে পারে না। এশিয়ান হাতিগুলির জীবনকাল আফ্রিকান হাতির তুলনায় অনেক কম হয়। এদের আয়ু প্রায় ৪৮ বছরের মতো হয়।
![]() |
আফ্রিকান বাচ্চা হাতি ও মা হাতি |
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন নখ ও চুল কাটলে ব্যাথা লাগে না কেন?
১৯) হাতিরা কি একা না দলে থাকে?
আফ্রিকান ও এশীয় উভয় হাতিই মহিলা নেতৃত্বাধীন, শক্তিশালী গোষ্ঠী গঠন করে। যাঁরা প্রভাবশালী মাতৃত্বী, তার স্ত্রী সন্তান এবং অন্যান্য মহিলা সম্পর্ক এবং তাদের বাছুর সমন্বয়ে গঠিত। মাঝেমধ্যে, হাতির দলগুলি ‘অপরিচিত’ তাদের সাথে যোগ দিতে দেবে। দল বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপদ করে তোলে এবং তাদের তরুনদের যত্ন নেওয়া এবং শেখানোর জন্য আরও বেশি সময় ব্যয় করতে দেয়।
২০) হাতিরা কি তাদের প্রতিবিম্বকে চিনতে পারে?
হাতিরা নিজেকে আয়নায় চিনতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটি বৃহত্তর আত্ম-সচেতনতার লক্ষণ। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, হ্যাপি নামে পরিচিত একটি এশিয়ান হাতি বারবার আয়নায় তাকানোর সময় তাঁর কপালে আঁকা একটি ‘এক্স’ স্পর্শ করেছিল, এর মাধ্যমে এই লক্ষ্যে উপনীত হওয়া যায় যে হাতিটি নিজের প্রতিবিম্বটি দেখছিল।
বেশিরভাগ প্রাণী ধরে নেবে যে একটি প্রতিচ্ছবি অন্য প্রাণী, এবং আয়নার পিছনে আরেকজনের সন্ধান করবে।
২১) বাচ্চা হাতি কি তাদের শুঁড় চোষে?
হ্যাঁ তারা করে! সমস্ত অল্প বয়স্ক স্তন্যপায়ী প্রাণীর মতোই, একটি হাতির বাচ্চা তাদের শুঁড় চোষে, এর মাধ্যমে মায়ের স্তন থেকে দুধ পান করার অনুরোধ জানায়। মজার কথা হলো যখন কোনও বাচ্চা হাতি তার মায়ের দুধ খেতে পারে না, তখন বাচ্চাটি আরামের জন্য তার শুঁড় চুষতে থাকে, যেমন একজন মানুষের বাচ্চা তার বুড়ো আঙ্গুল চুষতে থাকে😂🤣♥️।
নবজাতক হাতিগুলির কাণ্ডের উপর খুব সামান্য নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং তাদের কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে। তারা তাদের পরিবেশ অনুসন্ধান করে অনুশীলন করে - সহপাল পশুর সদস্যদের, তাদের আশেপাশের এবং নিজেকে স্পর্শ করে। তারপরে তাদের খাওয়ানোর জন্য তাদের কাণ্ডের ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ট্রাঙ্কে 50,000 এরও বেশি স্বতন্ত্র পেশী ইউনিট সহ এটি শেখার একটি জটিল দক্ষতা।
যদিও জীবনের প্রথম পর্যায়ে ট্রাঙ্ক-চুষানো বেশি দেখা যায়, সমস্ত বয়সের হাতি এটি করে, এমনকি বড় পুরানো ষাঁড়গুলি সাধারণতঃ যখন তারা নার্ভাস বা অনিশ্চিত বোধ করে।
কখনও কখনও একটি হাতি যা তার কাণ্ডটি চুষতে দেখা যায় তা আসলে এটি গন্ধের জন্য ব্যবহার করা হয়, স্পর্শ করার পরে গোবর বা প্রস্রাবের ছোঁয়া দেওয়ার পরে তার মুখের ভিতরে টিপটি রেখে দেয় অন্য হাতির দ্বারা উত্পাদিত ফেরোমোনগুলি নির্ধারণ করার জন্য।
![]() |
বাচ্চা হাতি তার শুঁড় চুষছে, মানুষের বাচ্চারা যেরকম বুড়ো আঙ্গুল চোষে |
২২) হাতিদের কি SIXTH SENSE বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় রয়েছে?
হাতিদের SIXTH SENSE বা ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় থাকার পরিচয় পাওয়া যায়। হাতিরা ২৮০ কিলোমিটার দূরের বজ্রপাত সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারে। 2004 সালে, হাতিরা এশিয়ান সুনামির আঘাত হানার আগে উচ্চতর স্থানে যাত্রা শুরু করেছিল।
এক নতুন বিজ্ঞানী বিজ্ঞানী গুবরে পোকা
২৩) একটি হাতি কত মিথেন উত্পাদন করে?
হাতিগুলি হজমের উপ-উত্পাদন হিসাবে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে তারা একদিনে যে পরিমাণ মিথেন নির্গত করে তা ৩২ কিলোমিটারের জন্য একটি গাড়ীকে চালিত করার পক্ষে যথেষ্ট হবে।
২৪) হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়
ডাঙ্গা সবচেয়ে বড় প্রাণী অর্থাৎ হাতি ভয় পায় মৌমাছি আর পিঁপড়া কে একথা শুনেই তো ভিরমি খাওয়ার কথা কিন্তু এটাই বাস্তব গবেষকদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে ফসল গাছ কিংবা অন্যান্য যে কোন জিনিসকে হাতিদের থেকে দূরে রাখতে বাঁহাতিদের থেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে মৌমাছি মৌচাক বা পিঁপড়ের ব্যবহার করা যেতে পারে।হাতিদের অবস্থা সংকটজনক
তবে বন্ধু এই বিশালকায় ডাঙার বৃহত্তম প্রাণীটি সমস্যায় পড়েছে তাদের অস্তিত্ব সংকটে। দুষ্টু শিকারীরা চোরাকারবারী দল এবং পাচারকারী দলের কুনজরে এরা পড়েছে। দাঁতাল হাতিদের দাঁত বাজারে ভালো দাম আছে বলে এই শিকারি চোরাকারবারী দের দল হাতিদের মেরে ফেলে। এছাড়াও এদের সার্কেকাসে বন্দী অবস্থায় কাটাবার ফলে এদের আয়ু কমে যায়। এশিয়ান হাতিগুলো ট্যুরিস্টদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিভিন্ন ট্যুরিস্ট এদের পিঠে চড়ে এদিক ওদিক ঘোরে। ফলস্বরূপ হাতিরা মারাত্মক যন্ত্রণার শিকার হয়। শুধু তাই নয় পৃথিবীর বৃহত্তম এই প্রাণীটিকে মানুষ তার বশে করে নিজের সার্থসিদ্ধিতে লাগিয়েছে।
![]() |
হাতির চোখে জল |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
DEAR READERS, ANY SUGGETION FOR THIS BLOG AND ANY KIND OF POST, PLEASE COMMENT. BECAUSE YOUR VALUABLE COMMENT WILL BE TAKEN HAPPILY. IF YOU HAVE ANY DOUBT PLEASE LET ME KNOW.