হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়, হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছির গল্প elephant afraid of bees and ant

      হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়, হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছির গল্প elephant afraid of bees and ant


ডাঙায় বসবাসকারী সবচেয়ে বড় পশু নাকি ভয় পায় ছোট্ট কিট মৌমাছি আর পিঁপড়া কে! আজ্ঞে হ্যাঁ ঠিক পড়েছেন ডাঙ্গা সবচেয়ে বড় প্রাণী অর্থাৎ হাতি ভয় পায় মৌমাছি আর পিঁপড়া কে একথা শুনেই তো ভিরমি খাওয়ার কথা কিন্তু এটাই বাস্তব গবেষকদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা প্রমাণিত যে ফসল গাছ কিংবা অন্যান্য যে কোন জিনিসকে হাতিদের থেকে দূরে রাখতে বা হাতিদের থেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে মৌমাছি মৌচাক বা পিঁপড়ের ব্যবহার করা যেতে পারে।


         
হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়


 হাতি মৌমাছিকে ভয় পায়


 হাতিরা মৌমাছিদের ভয় পায়। ডাঙার বৃহত্তম প্রাণীটি ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গ মৌমাছি ও পিঁপড়ের দ্বারা এতটাই আতঙ্কিত যে হাতি এদের থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করে। 
  অবশ্যই, মৌমাছিদের স্টিংগার একটি হাতির ঘন আড়াল প্রবেশ করতে পারে না।  - শত শত মৌমাছি হাতির সবচেয়ে সংবেদনশীল অঞ্চল, শুঁড়, মুখ এবং চোখের মধ্যে প্রবেশ করে আঘাত হানতে পারে। আসলে হাতির সংবেদনশীল অঞ্চল সেনসিটিভ এরিয়া হলো তার শুঁড়। 

     
মৌমাছি, হাতি মৌমাছিকে ভয় পায়


  মৌমাছির দ্বারা হাতিদের প্রতি এই প্রভাব এতটাই তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে যে সংরক্ষণবাদীরা এটিকে হস্তক্ষেপকারী ঝুঁকির মধ্যে ফেলে আসা ধরণের সংঘাত রোধে সহায়তা করে যাচ্ছেন। আমরা জানি কৃষকেরা তাদের ফসল রক্ষা করতে হাত থেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন যেমন বোম ফাটানো গুলি করা জোরে শব্দ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কৃষকেরা এবার অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন সেখানে তারা তাদের ফসল সংরক্ষণের ব্যাপারে মৌমাছিদের ব্যবহার করছেন ফলে হাতিরা চাষীদের ফসল নষ্ট করতে পারছে না।

           
                                                                ডিম কেনো গোল নয়
                     
  সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, গবেষকরা কৃষকদেরকে মৌমাছিদের ভয়কে ফসলের সুরক্ষার জন্য একটি সম্ভাব্য বেড়া লাইন হিসাবে হাতির ভয় ব্যবহার করতে প্ররোচিত করেছেন। প্রতি 20 মিটারে মৌমাছির স্ট্রিং দিয়ে - জাল পোষাকের বিকল্প দিয়ে - আফ্রিকার একদল গবেষক দেখিয়েছেন যে তারা ৮০ শতাংশ হাতিদের খামার থেকে দূরে রাখতে পারবেন।
 অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ সহযোগী লুসি কিংয়ের নেতৃত্বে দলটি আবিষ্কার করেছে যে এশিয়ান হাতিগুলিও মৌমাছিদের ভয় পায়, যদিও এর প্রভাব আফ্রিকান হাতিদের মত অতটা তীব্র নয়। গবেষকরা বলেছেন যে এই নিয়ন্ত্রণ কৌশলটি শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতেও কাজ করতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এশীয় হাতিগুলি তাদের মামাতো ভাই আফ্রিকান হাতিদের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বিপন্ন।

  হাতিরা পিঁপড়েদেরও ভয় পায়


  স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণী মৌমাছিদের ভয় পায় এ ব্যাপারে আগে থেকেই জানা ছিল কিন্তু তারা যে ছোট্ট কিট পিঁপড়াকেও ভয় পায় এ ব্যাপারে কারোরই জানা ছিল না।

             




  চমকপ্রদ এই আবিষ্কারটি ঘটেছিল পূর্ব আফ্রিকান সাভানায়। পরীক্ষাটা হয়েছিল   দুর্ঘটনাক্রমে, এর আবিষ্কার করেছিলেন  ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রফেসর টড পামার এবং তার সহকর্মীদের দ্বারা। তারা লক্ষ্য করেছেন যে ক্ষুধার্ত প হাতিগুলো বেশিরভাগ গাছ খেয়েছিল, কিন্তু তারা এক প্রজাতির গাছ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছিল। সেগুলো হলো বাবলা, অ্যাকাসিয়া ড্রেপানোলোবিয়াম প্রজাতির, এগুলোর কাছাকাছি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন যে গাছগুলি পিঁপড়ার সেনাবাহিনীর দ্বারা আবৃত।
  বিজ্ঞানীদের মতে হাতিগুলি মৌমাছিদের যে কারণে ভয় পায়, পিঁপড়াদেরও ঠিক একই কারণে ভয় পায় - তারা তাদের কাণ্ডের মধ্যে ঝাঁক পেতে পছন্দ করে না, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল।
  বিজ্ঞানীরা আশা করেন যে খামার এবং জঙ্গলের গাছ ইকো সিস্টেম বাঁচাতে গাছের কাছাকাছি পিঁপড়ার গন্ধ, এবং মৌমাছির আওয়াজ প্রবর্তন উভয়কে রক্ষা করতে সহায়তা করবে।
  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সমুদ্রের জল লবনাক্ত কেন? সমুদ্রের জলে লবন কেন? সমুদ্রের জল নোনা কেন?

লাইফবয় সোপ ব্যানড / লাইফবয় সাবান পশুদের সাবান / লাইফবয় সাবান নিষিদ্ধ

মৌমাছি, মৌমাছির উপকারিতা | মৌমাছির অবদান