সমুদ্রের জল লবনাক্ত কেন? সমুদ্রের জলে লবন কেন? সমুদ্রের জল নোনা কেন?
সমুদ্রের জল লবনাক্ত কেন? সমুদ্রের জলে লবন কেন?
সমুদ্রের জল নোনা কেন?
আমরা ছোটবেলা থেকে পড়ে এসেছি পৃথিবীর এক
ভাগ স্থল ও তিন ভাগ জল। পৃথিবীতে এতটাই যদি জল হয় তবে জলের জন্য আমাদের এত
ভাবতে হচ্ছে কেন? কেনো আমরা প্রতিদিন খবরের কাগজে বা টেলিভিশনের সংবাদের
পর্দায় জল সমস্যার কথা বা জল সংকটের কথা শুনি কেনই বা আমাদের দেশের অধিকাংশ
জায়গায় জল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে আর কেনই বা জল নিয়ে মানুষের
মধ্যে কথা কাটাকাটি এমনকি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছে?
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ পদ্ধতি
![]() |
জলের জন্য হাহাকার |
বিজ্ঞানীরা
বলেছেন যে মোট জলের শতকরা সাড়ে সাতানব্বই ভাগ (৯৭.৫%) জল লবনাক্ত আর
শতকরা আড়াই ভাগ (২.৫%) জল ব্যবহার যোগ্য। তার মধ্যে আবার সাড়ে চুয়াত্তোর
ভাগ (৭৪.৫%) জল রয়েছে বরফে ঢাকা ও তুষার শৃঙ্গে আটকে আছে। আর মাত্র শতকরা
শূন্য তিন ভাগ (০.৩%) জল পাওয়া যায় নদীতে, জলাশয়, পুকুরে, বাঁধে বা ঝিলে
এবং শতকরা মাত্র এক ভাগ (১%) জল মাটির নীচে আটকে আছে।
![]() |
সমুদ্রের নোনা জল |
সাধারণভাবে
জলকে আমরা গৃহস্থালী – যেমন পানীয়, রান্না, স্নান, শৌচ কাজ, জামা কাপড়
কাচা, বাসনপত্র ধোয়া, গৃহপালিত জীবজন্তু প্রতিপালন, কৃষিকাজ ও কল কারখানার
কাজে ব্যবহার করি। দেখা যাচ্ছে কৃষিকাজে, খাদ্যশস্য উত্পাদনের জন্য কমপক্ষে
শতকরা আশিভাগ (৮০%) জল, কলকারখানা ও তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য শতকরা দশ
ভাগ (১০%) জল, পানীয় হিসেবে শতকরা পাঁচ ভাগ (৫%) জল ও বাকিটা অন্যান্য
বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আমরা বেশ বুঝতে পারছি মানুষের জন্য
নিত্যদিনকার প্রয়োজনীয় জলের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম আর যদি
আসি পানীয় জলের কথায় তাহলে বলতেই হয় পানীয় জল তার লাস্ট স্টেজ অতিক্রম
করে গেছে অর্থাৎ আমরা যদি জল সংরক্ষণ জল অপচয় বন্ধ না করি এবং জল
সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব না দিই, তাহলে এই জল নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও লেগে
যেতে পারে।
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সমুদ্রের নোনাজল পানযোগ্য,
আর এই জলের বেশিরভাগটাই সমুদ্রের লবণাক্ত জল, যা মানুষের প্রয়োজন মেটায় না অর্থাৎ এই লবণাক্ত জল যা মানুষ পান করতে পারে না, ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু এই জল দিয়ে যে কাজটি সম্পন্ন হয় তা হল এই জলের থেকে লবন তুলে নিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। আবার নদী নালা খাল বিল হ্রদ প্রভৃতির জলকে বলা হয় স্বাদু জল বা মিষ্টি জল যা ব্যবহারযোগ্য, যা আমরা সাধারণত সরাসরি ব্যাবহার করতে পারি। তাহলে বন্ধুরা আসুন আমরা জেনে নিই সমুদ্রের জল নোনা কেন লবণাক্ত কেন?
মাটিতে যখন বৃষ্টিপাত ঘটে। তখন বৃষ্টির জল চারপাশের বাতাস থেকে কিছু কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রবীভূত হয়ে মাটিতে ঝড়ে পড়ে। স্বাভাবিভাবেই কার্বনিক অ্যাসিডের কারণে এটি বৃষ্টির জলকে কিছুটা অ্যাসিডযুক্ত বা অম্লত্ব করে তোলে (যা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল থেকে গঠিত)।
![]() |
যদি-হ্রদের মিষ্টি জল |
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সমুদ্রের নোনাজল পানযোগ্য,
আর এই জলের বেশিরভাগটাই সমুদ্রের লবণাক্ত জল, যা মানুষের প্রয়োজন মেটায় না অর্থাৎ এই লবণাক্ত জল যা মানুষ পান করতে পারে না, ব্যবহার করতে পারে না। কিন্তু এই জল দিয়ে যে কাজটি সম্পন্ন হয় তা হল এই জলের থেকে লবন তুলে নিয়ে লবণ তৈরি করা হয়। আবার নদী নালা খাল বিল হ্রদ প্রভৃতির জলকে বলা হয় স্বাদু জল বা মিষ্টি জল যা ব্যবহারযোগ্য, যা আমরা সাধারণত সরাসরি ব্যাবহার করতে পারি। তাহলে বন্ধুরা আসুন আমরা জেনে নিই সমুদ্রের জল নোনা কেন লবণাক্ত কেন?
![]() |
সমুদ্রের নোনা জল |
মাটিতে যখন বৃষ্টিপাত ঘটে। তখন বৃষ্টির জল চারপাশের বাতাস থেকে কিছু কার্বন ডাই অক্সাইড দ্রবীভূত হয়ে মাটিতে ঝড়ে পড়ে। স্বাভাবিভাবেই কার্বনিক অ্যাসিডের কারণে এটি বৃষ্টির জলকে কিছুটা অ্যাসিডযুক্ত বা অম্লত্ব করে তোলে (যা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল থেকে গঠিত)।
যখন
বৃষ্টিপাত ঘটে, তখন অম্লযুক্ত বৃষ্টির জল শিলাগুলিকে ক্ষয় করে দেয়।
বৃষ্টি শিলাটি ক্ষয় করার সাথে সাথে, বৃষ্টির জলের অ্যাসিডগুলি শিলাটি ভেঙে
দেয়। এই প্রক্রিয়াটি আয়নগুলি তৈরি করে বা বৈদ্যুতিন চার্জযুক্ত
পারমাণবিক কণা তৈরি করে। এই আইনগুলি জলের প্রভা এর সাথে সাথে নদীতে মিশে
এবং নদীর জলের স্রোতের সাথে সাথে সেগুলি সমুদ্রে গিয়ে পৌঁছায়। দ্রবীভূত
আয়নগুলির অনেকগুলি সমুদ্রের জীব দ্বারা ব্যবহৃত হয় এবং জল থেকে সরানো
হয়। অন্যগুলি ব্যবহৃত হয় না এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সেখানে রেখে যায়
যেখানে সময়ের সাথে সাথে তাদের ঘনত্ব বাড়তে থাকে।
সমুদ্রের জলে প্রচলিত দুটি আয়নগুলি হ'ল ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম। একসাথে,
তারা সমুদ্রের সমস্ত দ্রবীভূত আয়নগুলির ৯০ শতাংশেরও বেশি এবং আমরা সবাই
জানি সোডিয়াম এবং ক্লোরাইড হ'ল লবণাক্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সমুদ্রের
জলের লবণের পরিমাণ সব ক্ষেত্রে এক হয় না তা কিছুটা হলেও পার্থক্য থাকে।
সাদা মতো সমুদ্রের জলে লবণের পরিমাণ 3.1 থেকে 3 দশমিক 8 শতাংশের মতো হয় যা
গড়ে 3 দশমিক 5 শতাংশ।
![]() |
নদী-হ্রদের মিষ্টি জল |
যেরকম প্রথমে বলা হলো
যে কিছু খনিজ আয়নগুলি সামুদ্রিক প্রাণী এবং গাছপালা ব্যবহার করে, অর্থাৎ
সামুদ্রিক প্রাণী এবং গাছপালার ব্যাবহৃত আয়নযুক্ত জলে আর আয়ন গুলি আর থাকে
না। বাকী খনিজগুলি কয়েক লক্ষ বছর ধরে সমুদ্রের তলদেশে কেন্দ্রীভূত হতে
থাকে।
জলের বিচ্ছিন্ন দেহগুলি বাষ্পীভবনের
মাধ্যমে অতিরিক্ত নোনতা বা হাইপারসালিনে পরিণত হতে পারে। মৃত সাগর এর
উদাহরণ। এর উচ্চমাত্রার লবণের পরিমাণ পানির ঘনত্ব বাড়িয়ে তোলে, এ কারণেই
লোকেরা সমুদ্রের চেয়ে মৃত সাগরে আরও সহজে ভাসে।
বলা হয় যে, সমুদ্রের জলের সমস্ত লবণ যদি তুলে নিয়ে সমতল ভূমিতে সমান
আকারে ছড়িয়ে দেওয়া যায় তবে সেই লবণ স্তূপের উচ্চতা হবে প্রায় 500 ফুট
যা কি না একটি 40 ফুট অফিস বিল্ডিং এর সমান।
তথ্যগুলি ইন্টারনেট এবং ম্যাগাজিন দ্বারা সংগৃহিত
সমস্ত ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
সমস্ত ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
DEAR READERS, ANY SUGGETION FOR THIS BLOG AND ANY KIND OF POST, PLEASE COMMENT. BECAUSE YOUR VALUABLE COMMENT WILL BE TAKEN HAPPILY. IF YOU HAVE ANY DOUBT PLEASE LET ME KNOW.