সমুদ্রের পানযোগ্য জল, সমুদ্রের নোনাজল পানযোগ্য, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সমুদের লবনাক্ত জল পানযোগ্য, সমুদ্রের জলে মিটবে তৃষ্ণা
সমুদ্রের পানযোগ্য জল, সমুদ্রের নোনাজল পানযোগ্য, ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার সমুদের লবনাক্ত জল পানযোগ্য, সমুদ্রের জলে মিটবে তৃষ্ণা
পানিয় জল সমস্যা
জল সংকটের জেরে যখন সারাদেশ আতঙ্কিত দক্ষিণের রাজ্যগুলি, মরুভূমি অঞ্চলগুলি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ ভারতে একাধিক প্রদেশ যখন পানীয় জল সমস্যায় আক্রান্ত। চেন্নাইয়ের জল সংকটের ব্যাপারে আমরা সবাই জানি, মানুষ এক ফোঁটা জলের জন্য কাতরাচ্ছে, সারা পৃথিবী জুড়ে যখন জল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন করতে করতে নিঃশেষ হতে চলেছে পানীয় জলের সম্ভার, ভয়াবহ খরা এবার ছাতি ফেটে গেলেও মিলবে না এক ফোটা জল যখন সমীক্ষায় উঠে আসছে যে আগামী কয়েক বছরের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জলের জন্য লেগে যেতে পারে যুদ্ধ ঠিক সেই সময়ই আশার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।![]() |
জলের জন্য হাহাকার |
বৃষ্টির জল সংরক্ষণ পদ্ধতি বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কি ও কেন
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের লবনাক্ত জলকে পানযোগ্য জলের আবিষ্কার
জল সমস্যা সমাধানে আসার কথা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, বিশেষত আমাদের ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তারা দাবি করেছেন জল সংকটের সমাধান তারা করে ফেলেছেন। তারা আবিষ্কার করেছে পানযোগ্য সমুদ্রের জল। আমরা সবাই জানি সমুদ্রের জল নোনা, এ জল খাওয়া তো দূরের কথা এই জল দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাধি বাসা বাঁধতে পারে আমাদের শরীরে। বিজ্ঞানীরা বের করেছেন ঘরের তাপমাত্রায় সমুদ্রের সবচেয়ে লবণাক্ত জল থেকে লবন বের করে তা পান যোগ্য করার প্লান্ট। এই রিসার্চ অনেকদিন ধরেই চলে আসছিল পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মিশর, আমেরিকা, ইউরোপ সহ একাধিক জায়গায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে আমাদের ভারতীয় বিজ্ঞানীদের হাত ধরে।
![]() |
সমুদ্রের পানযোগ্য জল |
ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্য
কারণ এই গোটা ব্যবস্থায় কত খরচ হবে সেই সমুদ্রের পানযোগ্য জল আমাদের কাছে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে, কত টাকা দিয়ে আমরা কিনবো এসব ছিল এক বড় মাথা ব্যথার কারণ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই প্রযুক্তির সাহায্যে পানযোগ্য জল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জনগণকে বেশ মোটা টাকা গুনতে হতো অর্থাৎ সাধারণ মানুষের পক্ষে নিত্যদিনে জল পান করা কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু এখানেই আশার কথা শুনিয়েছেন আমাদের বাড়িতেও বিজ্ঞানীরা তারা বলেছেন এক্ষেত্রে তাদের দলের জন্য প্লান্ট এর ক্ষেত্রে অর্থাৎ এই সমস্ত প্রযুক্তিতে খরচা হবে প্রতি লিটারে ৬০ পয়সা থেকে এক টাকা। বিজ্ঞানীরা বলেছেন এই জল যখন সাধারণ মানুষের হাতে এসে পৌঁছাবে তখন তা তে দামের ফারাক বেশি একটা হবে না।তবে এই জলের দাম কত হবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করবে পরিবহন খরচ যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর। সমুদ্রের আশেপাশের অঞ্চলে তা করা হলে খরচ কম পড়বে কারণ জল আনার খরচ সে ক্ষেত্রে কম হবে আর সমুদ্র থেকে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে হলে বা সমুদ্রের থেকে দূরে কোন মরুভূমি কোন বসতিতে কোন অঞ্চলে সেক্ষেত্রে এর খরচ বেশি হবে।
![]() |
সমুদ্রের নোনা জলকে পানীয় জলে পরিণত করার পর |
তামিনাড়ুর পাইলট প্ল্যান্ট
পাইলট প্ল্যান্টটি তামিলনাড়ুর কলপক্কমে ভাভা পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের (বিএআরসি) বিজ্ঞানীরা স্থাপন করেছেন, যেখানে তারা সমুদ্রের জলকে শুদ্ধ করতে পারমাণবিক চুল্লি থেকে বর্জ্য বাষ্প ব্যবহার করে। জল বিশোধিত হয় এবং এটি স্বাদু জলের মতো স্বাদযুক্ত হয়। বিজ্ঞানীরা ফিল্টারেশন বা পরিস্রাবন পদ্ধতির সাহায্যে সেই জলকে করে তুলেছেন আর্সেনিকমুক্ত ও ইউরেনিয়ামমুক্ত যা মানুষ নিরাপদে পান করতে পারবে।![]() |
সমুদ্রের জলকে পানিও জলে পরিণত করার প্ল্যান্ট |
এনডিটিভি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, রাজস্থানে বেশ কয়েকটি প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে, মুম্বইয়ের বিএআরসি-র পরিচালক কে এন ব্যাস জানিয়েছেন। বিএআরসি দ্বারা বেশ কয়েকটি ঝিল্লিও তৈরি করা হয়েছে যা স্বল্প ব্যয়ে ইউরেনিয়াম বা আর্সেনিক দ্বারা দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল উত্পাদন করতে পারে।
চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান টেকনোলজি একদল গবেষক এ প্লান্ট বানিয়েছেন ইতিমধ্যেই প্ল্যান্ট বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে সমুদ্র থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষ লিটার জল তুলে এসমস্ত প্লান্টে পানীয় জলে রূপান্তরিত করার কাজ বিভিন্ন দ্বীপে শুরু হয়ে গিয়েছে।
তথ্যগুলি ইন্টারনেট এবং ম্যাগাজিন দ্বারা সংগৃহিত
সমস্ত ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
DEAR READERS, ANY SUGGETION FOR THIS BLOG AND ANY KIND OF POST, PLEASE COMMENT. BECAUSE YOUR VALUABLE COMMENT WILL BE TAKEN HAPPILY. IF YOU HAVE ANY DOUBT PLEASE LET ME KNOW.