মেরি কম । চার ঘণ্টায় দুই কেজি ওজন কমালেন মেরি কম
মেরি কম | চার ঘণ্টায় ২কেজি ওজন কমালেন মেরি কম
কোন মানুষ কি কখনও মাত্র চার ঘন্টায় দু কেজি ওজন কমাতে পারে, ব্যাপারটা অসম্ভব মনে হচ্ছে না হ্যাঁ ব্যাপারটা আমাদের কাছে অসম্ভব মনে হলেও বাস্তবে এমনটাই করে দেখিয়েছেন অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদকজয়ী মনিপুরী কন্যা মেরি কম। পোল্যান্ডে ৪৮ কেজির বক্সিং প্রতিযোগিতায় নামার আগে ২ ঘণ্টায় ৪ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। পিটিআই কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই ঘটনা তুলে ধরেন মেরিকম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এই অবাক করা কান্ড করে সেই পোল্যান্ড আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনা জিতেছিলেন তিনি, ঐবছর তিনি এই নিয়ে মোট তিনটে সোনা জিতেছিলেন।
চলুন জেনে নেই আপনার পাদ অন্যের জন্য উপকারী
আমরা যেখানে একমাসেও ১ কেজি ওজন কমাতে পারি না সেখানে কি করে মাত্র ২ ঘন্টায় ৬টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সোনা জয়ী বিশ্বের প্রথম মহিলা Iদু কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হলেন? কেমন করে তিনি এই অবিশ্বাস্য কান্ড করলেন আসুন জেনে নেই তার দেওয়া সাক্ষাৎকারেই।
চার ঘণ্টায় দুই কেজি ওজন কমালেন মেরি কম
৩৫ বছরের বক্সার জানিয়েছেন, ওই চার ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ওজন না কমাতে পারলে তিনি প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যেতেন। তখন টানা এক ঘণ্টা স্রেফ স্কিপিং করেছিলেন তিনি। তারপরই মেডিক্যাল করান তিনি। মেরি কম জানান, ধন্যবাদ বিমান যাত্রার সময় গোটা ফ্লাইটটাই ফাঁকা থাকায় তিনি পা প্রসারিত (ছড়িয়ে) ঘুমিয়েছিলেন, যার ফলে শরীরও ছিল নমনীয়। আর সেকারণেই খুব সহজেই বক্সিং রিংয়ে নামার প্রস্তুতি নিতে পেরেছিলেন
চলুন আমরা দেখে নেই মানুষ মোটা হয় কি করে, মোটা হওয়ার কারণ
পিটিআই কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই অলিম্পিয়ান বক্সার জানিয়েছেন, “আমরা পোল্যান্ডে নেমেছিলাম ভোর ৩টে থেকে সাড়ে তিনটে নাগাদ। এবং মেডিক্যাল করার কথা ছিল সাড়ে ৭টা নাগাদ। আর আমার যে বিভাগ ছিল, তার তুলনায় আমার ওজন দু কেজির মত বেশিই ছিল”। আমার বিভাগ ছিল 48 কেজি কিন্তু আমার ওজন 50 কেজি, আমি জানতাম যদি আমি এই ৪ ঘন্টায় আমার দু কেজি ওজন কমাতে না পারি, তাহলে আমাকে বাতিল হতে হবে এরপরই অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বক্সার স্কিপিং করে নিজের ওজন ৪৮ কেজিতে নিয়ে এসেছিলেন।
রাজ্যসভার সদস্য মেরি কম বলেন, ওই চার ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ওজন না কমাতে পারলে আমি প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যেতাম। তখন টানা এক ঘণ্টা স্রেফ স্কিপং করেছিলাম আমি। তারপরই আমি মেডিক্যাল করলাম। তিনি আরও জানান, উড়ানের সময় গোটা ফ্লাইটটি ফাঁকা ছিল, এতে তিনি হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়েছিলেন, যার ফলে শরীরও ছিল নমনীয়। তিনি আরও বলেন যে আর সেকারণেই খুব সহজেই বক্সিং রিংয়ে নামার জন্য নিজেকে তৈরি করে ফেলেছিলাম, যদি তা না হতো, সোনা জেতা তো দূরের কথা, খেলতেই হয়তো পারতাম না।
প্রসঙ্গত, তাকে নিয়ে নির্মিত সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত "দ্যা মেরি কম" সিনেমাটিতে তার জীবন সংগ্রাম, বক্সিং এর প্রতি উদ্যমতা, জীবনে চলার পথে বিভিন্ন বাধা, সাফল্যের চূড়ায় আরোহন ইত্যাদি জিনিস দেখানো হয়েছে। যা অনেক মানুষের কাছে এক শিক্ষামূলক অনুপ্রেরণা। প্রসঙ্গত মেরি কম এশিয়ান গেমসে (২০১৪ সালে) এবং কমনওয়েলথ গেমসে (২০১৮ সালে) স্বর্ণপদক অর্জনকারী প্রথম ভারতীয় মহিলা। মেরি কম একজন আন্তর্জাতিক হিরো, অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা, তরুণ বক্সার দের আদর্শ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
DEAR READERS, ANY SUGGETION FOR THIS BLOG AND ANY KIND OF POST, PLEASE COMMENT. BECAUSE YOUR VALUABLE COMMENT WILL BE TAKEN HAPPILY. IF YOU HAVE ANY DOUBT PLEASE LET ME KNOW.