মোটা হয় কি করে, মানুষ মোটা হয় কি করে, মোটা হওয়ার কারণ
মোটা হয় কি করে মানুষ মোটা হয় কি করে?
ইন্টারনেট ঘাটলে গুগোল সার্চ করলে মোটা হওয়ার হাজার রকম টিপস নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট হাজির। আমিও সার্চ করেছিলাম কেউ মোটা হওয়ার সঠিক কারণটি দেখাতে পারিনি কিন্তু তারা আবার মোটা হতে গেলে কি কি করা দরকার আর কি কি অপ্রয়োজনীয় তার পসরা নিয়ে হাজির। যেগুলোর বেশির ভাগই মানুষের শরীরের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে, কিন্তু এই বিষয়ে এদের কোনো হুঁস নেই। আজকে আমরা জানবো মানুষ মোটা হয় কি করে মোটা হওয়ার কোন টিপস-এন্ড-ট্রিকস খুঁজবো না শুধু জন্য এবং বুঝবো মোটা হয় কি করে।
মানুষ মোটা হয় কি করে একটা সময় ছিল যখন মোটাসোটা হওয়া সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ বলে ধরা হতো, এখন অনেকের বাড়ির লোকেরা মনে করে আমার ছেলে বা মেয়ে যদি মোটা থাকে তবে সে সুস্থ যদিও বিশাল মোটার কথা বলা হচ্ছে না। যাইহোক দিন পাল্টেছে ছিপছিপে হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে সকলে, টেলিভিশনে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বিভিন্ন মডেল আবার বিভিন্ন চ্যানেলে রোগা হওয়ার হাজারো রকম কৌশল নিয়ে হাজির আর বিভিন্ন সাধু অসাধু ব্যবসায়িক কোম্পানিগুলির রমরমা।![]() |
মেদবহুল মহিলা |
ডাক্তারেরা বলেছেন মোটা হওয়ার হাজার রকম সমস্যা মেয়েদের ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ গাঁটের ব্যথা হার্টের ক্ষতি ইত্যাদি নানান বাড়তি ঝুঁকি থাকে। তাই ডাক্তারদের পরামর্শে খাবার দাবারের ধরন বদলে শারীরিক পরিশ্রম বাড়িয়ে মেদ কমানোর চেষ্টা করতে হয় মোটা মানুষদের অনেকেই আছে ফল পান, দেহের বাড়তি চর্বির অনেকটাই ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। আবার বেশ কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের সব প্রয়াস ব্যর্থ হয় প্রচণ্ড হতাশ হয়ে পড়েন এদের অনেককেই দুঃখ করে বলতে শোনা যায় ডাক্তারবাবু শুধু জল খেয়ে থেকেও মোটা হচ্ছি কি যে করি! হরেক রকম খরচ সাপেক্ষ রক্ত পরীক্ষার পর অনেক সময় ডাক্তাররা ধরতে পারেন না আসল কারনটা কি সারা পৃথিবী জুড়ে গবেষকরা খুঁজে চলেছেন মানুষ কি করে মোটা হয় তার কারণ একদল গবেষক একটা বিজ্ঞান পত্রিকায় ইন্টার্নেশনাল যোর্নাল অফ অবেসিটি ওবেসিটি তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তার সহযোগীরা সম্প্রতি এ প্রবন্ধে এক বিষয়ে নতুন আলোকপাত করেছেন।
![]() |
মোটা হয় কি করে একজন মোটা মহিলা |
ডাক্তার ধুরন্ধর ও তার সহযোগীদের সন্দেহ দানা বেঁধেছে AD-36 নামের ভাইরাস কে নিয়ে। এমনিতেই ভাইরাসটি সর্দি জ্বর কাশি ঠান্ডা লেগে হাঁচি কাশি হওয়া ও নাক দিয়ে জল পড়া ইত্যাদি অতি সাধারণ রোগের লক্ষণ ডাক্তার ও সহযোগীরা উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় AD 36 ভাইরাস নিয়ে কাজ করেছেন। এরা দেখেছেন যে দু'দল ইদুঁরকে একই পরিমাণ ও ধরনের খাবার দেওয়া সত্ত্বেও যে দলেরই তুরকে এডি THIRTY-SIX ভাইরাস ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে সেগুলোর বেশি ওজন বৃদ্ধি হয়েছে মেদ বৃদ্ধির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য প্রায় আড়াই গুণ বেশি বানরের উপর এডি36 প্রয়োগেও একই ফল পাওয়া গেছে শুধু এটি THIRTY-SIX নয় আরও পাঁচটি এমন ভাইরাস পাওয়া গেছে তবে এডি৩৬ মানুষের রোগ সৃষ্টি করতে পারেঅন্যেরা নয় এই বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস ইঁদুর বাঁদরদের মত মানুষের শরীরের এই একই ভাইরাস একই কাজ করতে পারে।
ডাক্তার ধুরন্ধর আরও জানিয়েছেন যে পরীক্ষায় দেখা গেছে মোটা মানুষদের মধ্যে এডি৩৬ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্যদিকে রোগা লোকেদের মধ্যে মাত্র পাঁচ ভাগ ওই ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এতে এরি থার্টি সিক্স নিয়ে সন্দেহ আরো দ্বারা বেধেছে অসুবিধা হচ্ছে মানুষের উপর সরাসরি ভাইরাস ইনজেকশন করে গবেষণা করার উপায় নেই তাই অফ প্রত্যক্ষ প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন বিজ্ঞানীরা যাদের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব প্রমাণ করা গেছে 5-10 বছর ধরে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে সকলেই আগ্রহভরে অপেক্ষা করছেন ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায় সেটা দেখার জন্য।
![]() |
মোটা হওয়ার পরীক্ষা, মোটা ইঁদুর |
লেপটিন
এডি৩৬ ভাইরাস নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি ওসিপি DONNEL ও সহযোগী বিজ্ঞানীরা অন্য এক গবেষণায় দেখিয়েছেন যে লেপটিন নামে একটি প্রোটীন অনুর কম উৎপাদন শরীরে অধিক চর্বি জমতে সাহায্য করে সাধারণভাবে লেপটিন অন্য শরীরের চর্বি কলা (Adipose tissue থেকে বের হয় এর কাজ হলো মস্তিষ্কের Hypothalamus অঞ্চলে গিয়ে খিদেয় খাদ্যগ্রহণ নিয়ামক এর কাজ বন্ধ করে দেওয়া শরীরে কম লেপটিন উৎপাদন হলে প্রাণীর বেশি খিদে পাবে তাই বেশি খাবার খাবে ফলে শরীর মোটা হয়ে পড়বে এই গবেষকদল দেখেছেন যে এক জাতের ইঁদুর যাদের জন্ম থেকেই মোটা হওয়ার থাকে তাদের শরীরে লবণের পরিমাণ বরাবরই খুব কম থাকে অন্যদিকে বুনো দেশি ইঁদুরের ক্ষেত্রে লেপটিনের পরিমাণ থাকে স্বাভাবিক সাহেবদের মতে মানুষের শরীরেও লেপটিনের পরিমাণের হেরফের এবং চর্বি জমার মধ্যেও কোন সম্বন্ধ আছে একটা মারলে অন্যটা কমে তবে এসবই এখনো গবেষণর স্তরে তাই মোটা হওয়ার কারণ যে কি সেটা সঠিক করে বলার সময় এখনো আসেনি।![]() |
একজন হাসিখুশি মোটা মানুষ |
এটা কি খুব বড়ো সমস্যা
তবে একটা কথা না বললেই নয় যে, আপনি যদি মোটা হন এতে আপনার কোনোরকম শারীরিক সমস্যা না হয়, আপনার শরীর নিয়ে আম্পনি হাসিখুশি থাকেন তবে কেন আপনি রোগ ছিপছিপে হতে যাবেন। মোটা হওয়া তো আর কোনো অপরাধ না। তবে একথা ঠিক যে আপনার শরীরে যদি বেশ কিছুটা মেদ থাকে, এবং আপনি যদি কিছুটা দৈনিক শরীরচর্চা করেন, বা সকাল-বিকালে হাটাহাটি করেন, কিংবা খেলাধুলা করেন তবে আর কিসের সমস্যা। আসলে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরা কিছু বেসিক জিনিস ভুলে গেছি, আমরা নিজেদের সমস্যাকে যে নিজেরাই বাড়িয়ে তুলেছি এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। সম্ভব হলে আপনি যদি নিজের বাড়ির কাজ নিজেই করেন, আপনার বাড়িতে যে কাজের পরিচারক বা পরিচারিকা রয়েছে সে যে কাজগুলো করে সেই কাজগুলো যদি আপনি করেন তবেই তো অনেকটা সুরাহা হলো।![]() |
একজন হাসিখুশি মোটা মানুষ |
কয়েকটি কথা
আগেই বলেছি বন্ধু এই লেখাটিতে মোটা হওয়ার বা রোগ হওয়ার টিপস এন্ড ট্রিকস নেই। লেখাটি আপনার সচেতনতা বাড়াতে, কারণ আপনাকে রোগ বা মোটা হওয়ার বুদ্ধি দিয়ে বোকা বানাতে পারলে আমাদের লাভ। আমিনাকে চিকিৎসার না মে বিভিন্ন পাউডার বা বাজারে চলতি প্রোটিনযুক্ত খাবার দিতে পারলে ডাক্তারের লাভ, ওষুধ কোম্পানির লাভ, ওষুধ বিক্রেতার লাভ। বাজারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধের নাম যা চলে তা এককথায় আপনার সাথে প্রতারণা। কিছু ডাক্তারবাবুও সুন্দর সেই প্রোডাক্টগুলির নাম। প্রেসক্রিপশনে প্রেস্ক্রাইব করেন। ব্যাস সবার কার্যসিদ্ধি ঘটলো শুধু আপনার না।তথ্যগুলি ইন্টারনেট এবং ম্যাগাজিন দ্বারা সংগৃহিত
সমস্ত ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
DEAR READERS, ANY SUGGETION FOR THIS BLOG AND ANY KIND OF POST, PLEASE COMMENT. BECAUSE YOUR VALUABLE COMMENT WILL BE TAKEN HAPPILY. IF YOU HAVE ANY DOUBT PLEASE LET ME KNOW.