সুড়াকাভ পাখি‍‌‌ ‌ রঙ পরিবর্তনকারী পাখি colour changing bird 🐦

       সুড়াকাভ পাখি‍‌‌ ‌ রঙ পরিবর্তনকারী পাখি   Colour Changing Bird 🐦


  প্রকৃতির এক বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো সুড়াকাভ পাখি। এই পাখিটি কে বলা হয় রং পরিবর্তনকারী পাখি। হ্যাঁ বন্ধুরা ঠিক শুনেছেন এই পাখিটি রং পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত উত্তর আমেরিকায় দেখতে পাওয়া যায়।
  এই পাখিটির রঙ পরিবর্তন করার দক্ষতা ধরে রাখতে ১৯ জন ফটোগ্রাফার ৬২ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। এই ছোট পাখিটি হামিংবার্ড প্রজাতির মধ্যে পড়ে। এদের আনা হামিংবার্ড ও বলা হয়। 
 পাখিটির রঙ বিভিন্ন কোন থেকে অর্থাৎ বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে বিভিন্ন রং লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ পাখিটি যখন ডান দিকে ঘাড় ঘোরাচ্ছে তখন এক ধরনের রং আবার বাম দিকে ঘাড় করলে তখন আরেক ধরনের রং। আর এই রং সব সময় পরিবর্তনশীল। ভাবুন তো বন্ধু একবার কি অদ্ভুত।
                লাইফবয় সোপ ব্যানড / লাইফবয় সাবান পশুদের সাবান / লাইফবয় সাবান নিষিদ্ধ

রং পরিবর্তনকারী ক্ষমতা

  এই পাখির পালকের পালক তন্তুগুলির শীর্ষে পাতলা, পরিষ্কার ক্যারেটিন স্তর রয়েছে। যখন সূর্যের রশ্মি পালকের উপর পড়ে তখন প্রতিটি স্তরে কিছু সূর্যের আলো বাউন্স হয়ে যায় এবং কিছু স্তর দিয়ে যায় তবে পরের স্তরটি বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ সূর্যের আলো পড়লে কিছুক্ষেত্রে তা বাউন্স করে আবার কিছুক্ষেত্রে তা করে না। বিভিন্ন জায়গার সূর্যের রশ্মি বাউন্স একত্রিত হয়ে কিছু রঙ অবরুদ্ধ করে কোন হিসেবে রংগুলিকে আরো তীব্র স্পষ্ট করে তোলে।

  এর অর্থ হ'ল, আপনি যদি সবুজ চোখের পালকটি দেখেন তবে আপনি বেশিরভাগ সবুজ দেখতে পাবেন। বেগুনি চোখ যেখান থেকে এই পালকের দিকে নজর দিলে আপনি বেশিরভাগ বেগুনি দেখতে পাবেন। পাখিটি প্রত্যক্ষ করা সত্যিই আশ্চর্যজনক এবং কোন সন্দেহ নেই, দর্শকের বর্ণের এই অত্যাশ্চর্য প্রভাব দ্বারা প্রশংসিত হয়।

সুরাকাভ পাখির আকার

  যেহেতু এই পাখি হামিংবার্ড প্রজাতির পাখি পড়ে, তাই স্বাভাবিক ভাবেই এই পাখীর প্রজাতি ছোট। এর পুরুষ পাখির তুলনায় স্ত্রী পাখি আকারে ছোট হয়। এর পুরুষ প্রজাতির আকার ১০ সেন্টিমিটার এর মত হয়।

                                হাতি পিঁপড়া ও মৌমাছিকে ভয় পায়

সুরাকাভ পাখির বাজার মূল্য

  একটি সুড়াকাভ পাখির মূল্য 37 ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম 25 লক্ষ টাকা। এই ছোট পাখিটির এত দাম হওয়ার কারণ আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কারণের রং পরিবর্তন করার ক্ষমতা। মানুষের অসীম লোভের জন্য যেমন অনেক পশু বা প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে বা কিছু বিলুপ্ত হওয়ার পথে, সেরকমই এর অবস্থা। বলা হয় ১ কোটি ৫ ল লক্ষের মত সুরাকাভ পাখি বর্তমানে উত্তর আমেরিকাতে রয়েছে।

উপসংহার যা না বললে লেখাই বৃথা

 প্রকৃতির এই অপরূপ মহিমা এই আশ্চর্যজনক সৃষ্টি যাতে কোনোভাবেই সংকটের মুখে না পড়ে তা দেখার দায়িত্ব সভ্য সমাজের। যখনই কোন পশু বা পাখি বা কোন কীটপতঙ্গের কথা নিয়ে আমরা আলোচনা করি বা পড়তে বসি, বা ইউটিউবে ভিডিও দেখি তখনই একটা জিনিস আশঙ্কা দেয় যে এই প্রাণীটি কি অবলুপ্তির পথে এরও সংখ্যা কি ধীরে ধীরে কমে আসছে। সত্যি মানুষের নেকি লোভি সামনে এরা পরাজিত হচ্ছে আর আমরা শিক্ষিত সভ্য সমাজ এদের জন্য কিছুই করতে পারছি না শুধু জ্ঞানই অর্জন করি।

  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সমুদ্রের জল লবনাক্ত কেন? সমুদ্রের জলে লবন কেন? সমুদ্রের জল নোনা কেন?

লাইফবয় সোপ ব্যানড / লাইফবয় সাবান পশুদের সাবান / লাইফবয় সাবান নিষিদ্ধ

মৌমাছি, মৌমাছির উপকারিতা | মৌমাছির অবদান