মশার কয়েল ক্ষতিকারক, মর্টিন মশার কয়েল , মশার কোয়েল খারাপ

    মশার কয়েল ক্ষতিকারক । মর্টিন মশার কয়েল । মশার কোয়েল খারাপ


 মশার ধূপ,বলা ভালো মশার কয়েল যার বাজারি নাম এক একদেশে এক একরকম। অলআউট। আমরা মশা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য যে কয়েল কিনে থাকি এই কয়েল এর প্রধান রাসায়নিক এর নাম হল পাইরেথ্রাম। পাইরেথ্রাম এক প্রকার উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। অনেক বছর আগে তৎকালীন পারস্য যা আজকের ইরান এবং ইউরোপ সংলগ্ন এলাকায় পাইরেথ্রাম এর ব্যবহার ছিল শুধুমাত্র পোকামাকড় তাড়ানোর কাজে। কিন্তু জাপানিজ ব্যবসায়ী এইশিরো উয়েআমার এর  দাক্ষিণ্যে পাইরেথ্রাম আর পোকামাকড় তাড়ানোর গণ্ডিতে থাকলো না, তিনি এ পদার্থটিকে মশা তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করলেন এবং বের করলেন এক নতুন উপায়। সেসময় জাপানিরা কাঠের গুঁড়োর সঙ্গে পাইরেথ্রাম পাউডার মিশিয়ে সেগুলো পুড়িয়ে মশা তাড়াতো। উয়ে আমার শর্করার গুঁড়োর সঙ্গে পাইরেথ্রাম পাউডার ও মান্দারিন কমলালেবুর খোসার গুরু মিলিয়ে তৈরি করলেন কিন্তু সেগুলো লম্বা কাঠির মত ছিল তাই তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যেত। যাই হোক এইশিরো এবং উয়েআমা এর সমাধান করলেন এবং লম্বা কাঠি গুলোকে গোল গোল করে প্যাঁচানো আকার করে ফেললেন। মোটামুটি ভাবে ১৯০০ দশকের গোড়ার দিকে তারা বাজারে আনলেন মশা তাড়ানোর কয়েল। আর ১৯৫৭ সালের পরবর্তীতে মেশিনে তৈরি হতে লাগল মশা তাড়ানোর কয়েল।

পেনিস ছোট হচ্ছে কেনো। পুরুষের পেনিস ছোট হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের কারণে ছোটো লিঙ্গ

মশার কয়েল ক্ষতিকারক, মশার ধুপ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক, মর্টিন মশার কয়েল , মশার কোয়েল খারাপ, মশার কয়েলের অপকারিতা , মশার কয়েল ক্ষতিকর ,
মশা মারার ধূপ

                                                                 মুদ্রার প্রথম আবিষ্কারক


     চলুন জেনে নিই হাতির সম্পর্কে মজাদার ও আশ্চর্যজনক ২৫টি তথ্য 

 কতটা ক্ষতিকারক মশার কয়েল


  সম্প্রতি মালয়েশিয়ার চেস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন এ গবেষনা চালানো হয় এবং এই ফাউন্ডেশনের পরিচালক সন্দীপ সালভি বলেন, ‘অনেক মানুষ জানেই না যে একটা মশার কয়েল ১০০টা সিগারেটের সমান ক্ষতি করে ফেলছে তার ফুসফুসে।’ তিনি আরও বলেন, মানব শরীরে বায়ু দূষণের প্রভাব সম্পর্কে গণসচেতনতার পর্যাপ্ত অভাব রয়েছে। বাসার ভেতরের বায়ু দূষণও শরীরের জন্য মারাত্বক। জার্মানির লু্যরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞগণ একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা জানান, কয়েল তৈরিতে যে কাঠের গুঁড়ো ও নারকেলের মালার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়, তার ধোঁয়া এতোই সূক্ষ্ম যে তা সহজেই আমাদের শ্বাসনালী ও ফুসফুসের বায়ুথলির মধ্যে পৌঁছে সেখানে জমা হতে পারে। আর খুব সূক্ষ্ম হওয়ার জন্য কণাগুলো বাতাসেও কয়েকদিন ভাসমান অবস্থায় থাকতে পারে। অর্থাৎ মশার কয়েল নেভার বহুক্ষণ পরেও ঘরে অবস্থানকারী মানুষের শ্বাসনালীতে কয়েলের ধোঁয়ার কণা ঢুকতে পারে। এর ফলে ফুসফুসের বায়ুথলির কণায় রক্ত জমে যাওয়া থেকে নানা ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া অ্যালেট্রিন মস্তিষ্ক ও রক্তের ভেদ্যতা বাড়িয়ে দেয় বলেও তাঁরা জানান। গবেষকরা বলেন আধঘন্টা ধরে একটা কয়েল পরলে যে ধোঁয়া তৈরি হয় তা নাকি ৭৫ থেকে ১৩৭ টি সিগারেট পোড়ার সমান। আর এর থেকে যে ক্ষতিকারক ফরমালডিহাইড তৈরি হয় তা ৫১ টি সিগারেট পুড়ে তৈরি ফরমালডিহাইডের সমান।   

 
 প্রায় সমস্ত মশার কয়েলেই থাকে অ্যালেট্রিন। এর সঙ্গে ফেনল ও ক্রেসল দুটি জৈবযৌগ ব্যবহার করা হয়। কয়েলে উলিস্নখিত উপাদানগুলোর পরিমাণ মানুষের সহনীয় মাত্রার মধ্যেই থাকে বলে দাবি করে ব্যবসা করছে কয়েল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কতকগুলো কীটনাশককে মশার কয়েলে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ বলে চিহ্নিত করলেও আজ পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো মান নির্ধারিত হয়নি। কেবলমাত্র তৃতীয় বিশ্বে মশা নিধনে ব্যবহূত এই কয়েলের ভালোমন্দ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো মাথাব্যথাও নেই। আর তাই ব্যবহারকারীদের ওপর মশার কয়েলে উপস্থিত কীটনাশক ও অন্যান্য উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকে সাধারণ মানুষ ততোটা গুরুত্ব দেয় না।
   
                                                                                                                   ছবিগুলি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
                                                                                                                   

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সমুদ্রের জল লবনাক্ত কেন? সমুদ্রের জলে লবন কেন? সমুদ্রের জল নোনা কেন?

লাইফবয় সোপ ব্যানড / লাইফবয় সাবান পশুদের সাবান / লাইফবয় সাবান নিষিদ্ধ

মৌমাছি, মৌমাছির উপকারিতা | মৌমাছির অবদান